
দেশের প্রথমসারির দৈনিক পত্রিকা ‘প্রথম আলো’র সম্পাদক মতিউর রহমানকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আজ বুধবার একটি পোষ্ট দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির(এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। পোষ্টটি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে বেশ আলোচনা হচ্ছে। এনসিপির মুখ্য সমন্বয় নাসির উদ্দিন পাটোয়ারীকে উদ্ধৃত করে দেয়া ওই পোষ্টে হাসনাত আব্দুল্লাহ লিখেছেন ‘প্রথম আলোর মতি ভাইকে বলবো হয় আপনি সাংবাদিকতা করেন, না হয় রাজনীতি করেন। প্রয়োজনে এনসিপি থেকে আমরা আপনাকে মনোনয়ন দেব, তাও অপসাংবাদিকতা বন্ধ করেন। ২০টি আসন ও তিনজন মন্ত্রীর প্রস্তাব সম্পূর্ণ ভুয়া ও মিথ্যা। প্রথম আলো, ডেইলি স্টারকে ভয় পাবার দিন আর নেই’।
এদিকে গণমাধ্যমে প্রকাশিত ‘বিএনপির কাছে ২০ আসন চায় এনসিপি, চায় মন্ত্রিসভায়ও হিস্যা’ শীর্ষক প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি(এনসিপি)। প্রতিবাদে বলা হয় বিএনপির সঙ্গে আসন সমঝোতা ও মন্ত্রিসভায় হিস্যা চাওয়ার খবর সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। প্রকাশিত বিভ্রান্তিকর এই সংবাদের প্রতিবাদ জানায় এনসিপি।
আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) এনসিপির মিডিয়া সেলের সম্পাদক মুশফিক উস সালেহীনের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ বিষয়টি জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, জাতীয় নাগরিক পার্টি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোট, আসন সমঝোতা বা ক্ষমতা ভাগাভাগি বিষয়ে কোনো আলোচনা বা সিদ্ধান্ত নেয়নি। এমন কোনো প্রস্তাবও দলের নীতি নির্ধারণী পর্ষদে কখনো গৃহীত হয়নি।এনসিপি বিশ্বাস করে, দেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতি হবে জনগণের অধিকার, জবাবদিহিতা, সংস্কার ও গণতান্ত্রিক পুনর্গঠনের রাজনীতি। সে লক্ষ্যেই দলটি সারাদেশে সাংগঠনিক প্রস্তুতি ও প্রার্থী যাচাই প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে।প্রতিবেদনে উল্লিখিত তথাকথিত ‘সূত্র’ সম্পূর্ণ অনুমাননির্ভর এবং সাংবাদিকতার মৌলিক নীতির পরিপন্থি। এতে জনগণ বিভ্রান্ত হয়েছে এবং দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে।
জাতীয় নাগরিক পার্টি অবিলম্বে প্রকাশ্যে দুঃখপ্রকাশ ও সংশোধনী প্রকাশের আহ্বান জানাচ্ছে। আমরা পুনরায় স্পষ্ট করছি, এনসিপি কোনো দলের কাছে আসন বা মন্ত্রিসভায় অংশগ্রহণের দাবি তোলেনি। আমরা জনগণের আস্থায় একটি বাংলাদেশপন্থী, দায়িত্বশীল ও স্বতন্ত্র রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
মন্তব্য করুন