
শ্রমিকদের সাথে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষের পর নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে এখন শুনশান নিরবতা। প্রতিদিন ভোর থেকে শ্রমিকদের পদচারণায় মুখরিত থাকলেও আজ একেকবারই ফাঁকা ইপিজেড এলাকা। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ইপিজেডের মূল ফটক সহ বিভিন্ন দিকে জোরালো অবস্থানে রয়েছেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
কয়েকদিন থেকে ২৩ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন করে আসছে উত্তরা ইপিজেডের এভারগ্রীন বিডি নামের একটি পরচুলা তৈরির কারখানার শ্রমিকরা। শ্রমিক অসন্তোষ ঠেকাতে সোমবার রাতেই কারখানা ছুটি ঘোষণা করে এভারগ্রীন কর্তৃপক্ষ
মঙ্গলবার সকালে কাজে এসে কারখানা বন্ধের খবর শুনে উত্তেজিত হয়ে পড়েন শ্রমিকরা। তাঁরা ইপিজেডের সামনের সড়ল ও মূল ফটকে অবস্থান নিয়ে অন্যান্য কারখানার শ্রমিকদেরও ভেতরে ঢুকতে বাঁধা দেন।
এতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও ইপিজেডের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা এলে শ্রমিকদের সাথে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষের সময় অন্তত দশ শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হন এবং হাবিব নামের এক শ্রমিক মারা যান। এরপর উত্তেজনা আরও বেড়ে গেলে ইপিজেড এর সকল কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে বেপজা কর্তৃপক্ষ।
মন্তব্য করুন