
অভাব অনটনের সংসার। তাই পড়াশোনার পাশাপাশি বাবাকে সহায়তা করতে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন একাদশ শ্রেণির ছাত্র শাকিব। পরিবারের অভাব ঘোচানোর স্বপ্ন বুনেছিলেন, কিন্তু এক নির্মম হত্যার ঘটনায় থেমে যায় সেই স্বপ্ন। শাকিবের বাড়ি বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার বীরগ্রাম এলাকায়।
২০২২ সালের ৩০ অক্টোবর সকাল ৯টায় শাকিব মোটরসাইকেলে করে রাজমিস্ত্রির কাজে বগুড়া শহরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। সন্ধ্যা ৬টায় বালু বিক্রি সংক্রান্ত বিষয়ে ওই এলাকায় শাকিবের ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সঙ্গে কয়েকজনের তর্কবিতর্ক হয়। এরই জের ধরে রাতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শাকিবের গতিরোধ করে। এসময় ধারালো চাকু, রড, পাইপ দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় শাকিবকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় শাকিবের। শাকিব হত্যাকান্ডের ২ বছর ৮ মাস পেরিয়ে গেলেও বিচারের আশায় আদালতপাড়া থেকে শুরু করে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে ধর্না দিয়েও কাজ হচ্ছে না । চোখের জল শুকিয়ে এখন শোকে পাথর হয়ে বেঁচে থাকাটাই যেন নিয়তি শাকিবের বাবা-মায়ের।
অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় মেম্বারের নির্দেশে ৭ থেকে ৮ জন মিলে শাকিবকে পেটায়। পরে মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া আসামিরা জামিনে মুক্ত হয়ে এসে ১০ লাখ টাকার বিনিময়ে মামলাটি তুলে নিতে বিভিন্নভাবে হুমকি দিতে থাকে। বলে, মামলা তুলে নে, নইলে তোর ছেলের মত তোকেও পিটিয়ে মেরে ফেলব। এতে আতঙ্কে দিন কাটছে অসহায় পরিবারটির। তাই দোষীদের শাস্তির দাবি এলাকাবাসীর।
শাজাহানপুর থানায় দায়ের করা মামলাটি বর্তমানে বগুড়া জেলা গোয়েন্দা শাখা তদন্ত করছে। শাকিব হত্যাকান্ডে জড়িত দোষীদের দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা হোক এমনটাই দাবি স্বজন ও এলাকাবাসীর।
মন্তব্য করুন