
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে ছাত্রী সংস্থার জাল ভোটের অভিযোগসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে ছাত্র ইউনিয়ন একাংশ ও ছাত্র ফ্রন্টের প্যানেল ‘সংশপ্তক পর্ষদ’ ভোট বর্জন করেছে।
আজ ১১ জুলাই বৃহস্পতিবার বিকেলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টের মাধ্যমে ছাত্র ফ্রন্টের প্যানেলের পক্ষ থেকে সংসপ্তক পর্ষদের জিএস পদপ্রার্থী জাহিদুল হাসান ইমন এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ছাত্রী সংস্থার মেয়েদের জাল ভোটের একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে ১৫ নম্বর ছাত্রী হল কেন্দ্রে। ভোট দেওয়ার জায়গায় পূরণকৃত ব্যালট পাওয়া গেছে।
শহীদ সালাম বরকত হলে ভোটার সংখ্যা ২৯৯ জন হলেও ভোটকেন্দ্রে মোট ব্যালট পেপার গিয়েছে ৪০০টি। ভোটার তালিকায় ছবি যুক্ত করা হয়নি। যে কেউ এসে ভোট দিয়ে যাচ্ছে। রফিক-জব্বার হলে তার প্রমাণও পাওয়া গেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষপাতমূলক আচরণ পরিলক্ষিত হয়েছে অভিযোগে তিনি বলেন, প্রতিটি হলেই বিভিন্ন সংগঠনের বহিরাগতদের অবস্থান দেখা গেছে।
এ ছাড়া অন্যান্য অভিযোগও আমরা দেখতে পেয়েছি। এমতাবস্থায় ‘সংশপ্তক পর্ষদ’ নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিচ্ছে। জাহিদুল হাসান আরো বলেন, ‘আমরা জাকসুতে অংশগ্রহণকারী সব প্যানেল ও শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানাব, আসুন, সকল ভেদাভেদ ভুলে এই অনিয়মের প্রশাসন ও ছাত্রশিবিরের এই ভোট ডাকাতির চক্রান্তকে সবাই একতাবদ্ধ হয়ে প্রতিহত করি।
এর আগে ভোটে কারচুপিসহ নানা অভিযোগ তুলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচন বর্জন করে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল।নির্বাচন ঘিরে শুরু থেকেই অনিয়ম হয়ে আসছে বলে অভিযোগ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক সভাপতি শরণ এহসান।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনি প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকে আমরা নির্বাচন কমিশনের নানা ধরনের অস্বচ্ছতা, অনিয়ম লক্ষ করে আসছি। নির্বাচনি প্রচারণা চলাকালে নানা সময়ে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে কিন্তু কমিশন তার কোনও সুরাহা করেনি। ৯ সেপ্টেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট করার কথা ছিল।
আমরা জেনেছি, অনেক প্রার্থী সেই টেস্ট করেনি। ডোপ টেস্টের ফলাফল নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত প্রকাশ করতে পারেনি। এই সবকিছুতে নির্বাচন কমিশন আস্থা হারিয়েছে।’
মন্তব্য করুন